মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
চীন
দ্রুত পুনরুজ্জীবিত অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে চীন শীর্ষস্থানে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, মহামারীর ফলে সৃষ্ট সংকট থেকে এশিয়ার অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে চীন দ্রুত অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে চীনের তেল খাতের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারকের মর্যাদা ফিরে পেয়েছে। চীনে মহামারীর প্রভাব হ্রাস পাওয়ার পর দেশটির নাগরিকদের মধ্যে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। অবশেষে, চীনে জ্বালানির দাম প্রাক-মহামারী পর্যায়ে ফিরে আসে।
ভারত
তালিকার দ্বিতীয় দেশ হচ্ছে ভারত যেখানে কোভিড-১৯ মহামারীর নেতিবাচক পরিণতির ফলে তেল খাত পুনরুদ্ধারে বাধা আসেনি। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, জ্বালানীর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছিল। ২০২১ সালের মে মাসে স্থানীয় গতিশীলতার হার বেশি থাকা সত্ত্বেও পেট্রোলিয়াম এবং ডিজেল জ্বালানির দাম কমেছে। ইতিপূর্বে প্রাক-মহামারী কালে ভারতের ট্রাফিক ছিল ৫৭%। উপরন্তু উৎপাদন কার্যক্রমও কমেছে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে, ভারতে পেট্রোলিয়ামের চাহিদা প্রতিদিন ১৫০,০০০ ব্যারেলে নেমে যেতে পারে।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া সেই দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে যারা মহামারীর পরিণতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং যাদের তেল শিল্প পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধের ব্যাপক কড়াকড়ির কারণে, যানবাহনের পাশাপাশি তেলের চাহিদাও কমে গেছে। ২০২১ সালের মে মাসে, প্রাক-মহামারী কালের তুলনায় স্থানীয় জনসংখ্যার গতিশীলতা ছিল ৭৮.৫%। একই সাথে উৎপাদন খাতে কার্যকলাপ হ্রাস পেয়েছে। জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন ছিল। ফলস্বরূপ, ডিজেল জ্বালানীর ব্যবহার ও উৎপাদন কার্যকলাপ হ্রাস পেয়েছে। সফলভাবে কোভিড-১৯ টিকাদানের কার্যক্রম চললে জ্বালানির চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়া
তেল খাত দ্রুত পুনরুদ্ধার করা দেশগুলোর তালিকায় ইন্দোনেশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। পার্টামিনা পাত্রা নিয়াগা অনুসারে, পেট্রোলিয়াম এবং ডিজেল জ্বালানির ক্রমবর্ধমান খরচ ২০২১ সালের মে মাসে চাহিদা ৪-৫% বাড়িয়েছে৷ তবে, এটিকে মূল্যের মৌসুমী বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে চলতি মাসে চাহিদা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যাপলের সমীক্ষার ভিত্তিতে, ২০২১-এর এপ্রিলের তুলনায় গত মাসে উৎপাদন কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির যানজট মহামারীর আগের তুলনায় বেশি ছিল।
জাপান
জাপান আমাদের তালিকার পঞ্চম রাষ্ট্র যারা তেল খাতে মহামারীর আঘাতের সাথে লড়াই করার চেষ্টা করছে। দেশটির সরকার সম্প্রতি কোভিড-১৯ জরুরী অবস্থা ২০ শে জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জাপান দ্বিগুণ মন্দার সম্মুখীন হয়েছে। মে মাসে উৎপাদন খাতের কার্যক্রম এপ্রিল থেকে কিছুটা কমলেও দেশটির যানজট প্রাক-মহামারী কালের তুলনায় বেশি ছিল। জাপানের তেল শোধনাগারগুলো সম্প্রতি সক্রিয়ভাবে অপরিশোধিত তেল ক্রয় করছে।
দক্ষিণ কোরিয়া
আমাদের তালিকার ষষ্ঠ দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। মে মাসে, দেশটির যানজট প্রাক-মহামারী সময়ের তুলনায় প্রায় ৬৯% বেশি ছিল। একই সাথে উৎপাদন শিল্পে দক্ষিণ কোরিয়ার কার্যকলাপ টানা দ্বিতীয় মাসের মত হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারীর পরে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ধীর এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া আমাদের শীর্ষ ৭ দেশের তালিকার সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, পুরাতন শোধনাগার বন্ধের মধ্যে কঠোর কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ এবং ক্রমবর্ধমান তেল আমদানির কারণে ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে স্থিতিশীলভাবে তাদের অর্থনৈতিকপুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চলছিল। ফলস্বরূপ, স্থানীয় ইনভেন্টোরিজ প্রসারিত হয়েছে। অ্যাপলের মতে, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার যানজট প্রাক-সংকটের পর্যায়ে ফিরে এসেছে। উড ম্যাকেঞ্জি বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন যে ২০২১ সালে দেশটিতে পেট্রোলিয়াম এবং ডিজেল জ্বালানির চাহিদা ১০% বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যবহার ২০২১ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতিদিন ১৪ মিলিয়ন ব্যারেল বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক