আরও দেখুন
১৯৬০ সালে চেস্টার ডব্লিউ কেল্টনার 'কেল্টনার চ্যানেল' প্রযুক্তিগত নির্দেশক তৈরি করেন এবং তার 'হাউ টু মেক মানি ইন কমোডিটিস' বইতে তা প্রথম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে লিন্ডা ব্র্যাডফোর্ড রাস্কা আরও তথ্য বিশ্লেষণ সহ কেল্টনার চ্যানেলের সংস্করণ প্রকাশ করেন। বর্তমানে, নির্দেশকের এই ভ্যারিয়্যান্টটি লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
KC Middle = MA(Price, n, Type),
KC Upper = KC Middle + MA(ATR, n, Type) * Dev,
KC Lower = KC Middle - MA(ATR, n, Type) * Dev, যেখানে
Price - চলতি প্রিয়ডের মূল্য (ক্লোজ, ওপেন, ইত্যাদি);
ATR - এভারেজ ট্রু রেঞ্জ;
Dev - ডেভিয়েশন ফ্যাক্টর।
'কেল্টনার চ্যানেল' প্রবণতা নির্দেশকের গঠনগত সাদৃশ্য রয়েছে 'বোলিঞ্জার ব্যান্ডস', 'ডনকিয়ান চ্যানেল', 'সিলভার চ্যানেল' এবং প্রাইস এক্সট্রিমস এর সাথে কাজ করা অন্যান্য নির্দেশকের সাথে।
দীর্ঘ সময় ধরে এই চ্যানেলের মধ্যে মূল্যের চলতে থাকা এবং ব্রেকআউট হওয়ার মাধ্যমে এই নির্দেশকের ক্রয় এবং বিক্রয় সংকেত নির্ণয় করা হয়। সুতরাং ব্রেকআউটের সময় মার্কেটে প্রবেশ করার সবচেয়ে ভাল মুহূর্ত হল, সংকেত প্রদানকারী ক্যান্ডেল কেল্টনার চ্যানেলের উপরের এবং নিচের ব্যান্ডকে সম্পর্ণ আবৃত করার সময়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা অনেক ভুল সংকেত পরিহার করতে পারে। ক্যান্ডেলের আকার এবং আকৃতি গুরুত্তপূর্ণ নয়। ক্যান্ডেলের সম্পূর্ণ অংশ চ্যানেলকে ভেদ করবে।
কেল্টনার চ্যানেলের মাধ্যমে কার্যকর লেনদেনের অন্যতম শর্ত হচ্ছে উচ্চ সময়সীমা ব্যবহার করা। নিম্ন সময়সীমার ক্ষেত্রে, চ্যানেল ব্যান্ড ভেদ করার সময় ভুল সংকেতের পরিমাণ বেড়ে যায়। নেতিবাচক প্রভাব দূর করার জন্য এইচ১ সময়সীমার উপরে এই প্রযুক্তিগত নির্দেশক ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে।
কেল্টার চ্যানেলের জন্য অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হল, মূল্য চ্যানেল ভেদ করার সময় সরবারহকৃত সংকেত ফিল্টার করা। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে ভাল ফিল্টারিং পদ্ধতি নির্বাচন করার জন্য নির্দেশকটিকে ভালভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। যাহোক, এটাকে ব্যবহার করার সবচেয়ে ভাল উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল সুপরিচিত প্রবণতা শক্তি নির্দেশক 'এডিএক্স' এর সাথে ব্যবহার করা:
পজিশন বন্ধ করার মুহূর্ত নির্ণয়ে কেল্টনার চ্যানেল নির্দেশক কম কার্যকর, তাই এটাকে পজিশন খোলার মানদন্ড হিসাবে ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে।
MA_period = 10
Mode_MA = 0
Price_Type = 5