আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1382 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 50 পিপস কমেছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক এবং নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ডলারের প্রতি চাহিদা বাড়িয়েছে এবং ইউরোর দরপতন ঘটিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সূচকের উন্নতি বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করেছে, যারা সক্রিয়ভাবে ডলার-নির্ভর অ্যাসেট মূলধন স্থানান্তর শুরু করেছেন, যার ফলে ইউরোর ওপর চাপ বেড়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা গঠনের ক্ষেত্রে মৌলিক কারণগুলো এখনও ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক, এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার ট্রেডিং কৌশলের মূল উপাদান হিসেবেই থাকছে।
আজ জার্মানি থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স, কারেন্ট ইকোনমিক অ্যাসেসমেন্ট, এবং ইকোনমিক এক্সপেকটেশন সূচক। এগুলো হ্রাস পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ট্রেডিং সেশনের প্রথমার্ধেই ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থনীতিবিদরা এই সূচকগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, কারণ এগুলো জার্মান ব্যবসায়িক পরিস্থিতির নির্ধারক হিসেবে কাজ করে। IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্সের পতন প্রায়ই জার্মান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়—যা ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এর ফলে, পুরো ইউরোপীয় অর্থনীতি এবং ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারেন্ট ইকোনমিক অ্যাসেসমেন্ট বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়িক নেতারা কীভাবে ভাবছেন, তা প্রতিফলিত করে। এই সূচক হ্রাস পেলে বোঝা যায় যে কোম্পানিগুলো বর্তমানে চাপের মুখে রয়েছে—হোক তা চাহিদা হ্রাস, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, কিংবা অন্যান্য সমস্যার কারণে। অন্যদিকে, ইকোনমিক এক্সপেকটেশন সূচক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোম্পানিগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। এই সূচক হ্রাস পেলে বোঝা যায় যে কোম্পানিগুলো ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ, এবং তারা বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানে কাটছাঁট করতে পারে।
দৈনিক কৌশলের জন্য, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1409-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1361-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1409-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1331-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1361 এবং 1.1409-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1331-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1282-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোনো সময় এই পেয়ারের বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1361-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1331 এবং 1.1282-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।