আরও দেখুন
গতকাল অনুষ্ঠিত ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার পর ইউরোর মূল্যের খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, তবে ব্রিটিশ পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য দরপতনের শিকার হয়েছে।
পাওয়েলের মতে, বর্তমানে ফেড কংগ্রেসের নির্ধারিত দ্বৈত ম্যান্ডেট—সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান ও মূল্য স্থিতিশীলতার ওপর ফোকাস করছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা অর্জনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। তিনি বলেন, "উচ্চমাত্রার অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মন্দার ঝুঁকি সত্ত্বেও, মার্কিন অর্থনীতি এখনো শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। শ্রমবাজার পূর্ণ কর্মসংস্থানের কাছাকাছি রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, তবে এখনও আমাদের ২% লক্ষ্যমাত্রার সামান্য ওপরে রয়েছে।"
তিনি আরও জানান, প্রথম প্রান্তিকের নতুন জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে। পাওয়েল বলেন, "উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হয়েছে।" তিনি জানান, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতিমালার প্রেক্ষিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রিম আমদানি সম্পন্ন করায় ভোক্তাদের ব্যয় ও আমদানি খাতে প্রবৃদ্ধি প্রথম প্রান্তিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কিছুটা সহায়তা করেছে, তবে বছরের বাকি সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর চাপ বাড়বে। তিনি জানান, "পরিবার ও ব্যবসায়িক খাতে পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে, যার মূল কারণ বাণিজ্য নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ।"
শ্রমবাজার নিয়ে পাওয়েল বলেন, বছরের প্রথম তিন মাসে মাসিক গড়ে ১৫০,০০০ ননফার্ম পে-রোল যোগ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সংখ্যা কমেছে, তবে কম ছাঁটাই এবং সীমিত শ্রমশক্তি প্রবৃদ্ধির কারণে বেকারত্বের হার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পাওয়েল উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে চাকরির সংখ্যা বনাম চাকরিপ্রার্থীর অনুপাত এখনও ১-এর কিছু ওপরে। তিনি বলেন, "মজুরি বৃদ্ধি মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তবে এখনও মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে এগিয়ে। সামগ্রিকভাবে, শ্রমবাজার টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে, এবং এটি মুদ্রাস্ফীতির প্রধান উৎস নয়।"
মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পাওয়েল বলেন, "মহামারির সময় ২০২২ সালের মাঝামাঝি যে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছিল, তা এখন অনেকটাই কমেছে—তবে তা বেকারত্ব বৃদ্ধির মতো বেদনাদায়ক পরিণতি ছাড়াই। মুদ্রাস্ফীতিতে অগ্রগতি ধীর গতির হলেও, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি এখনও আমাদের ২% লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে।"
মুদ্রানীতি নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা কেবল তখনই নীতিতে পরিবর্তন আনব, যখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ও ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্যনীতির প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাব। শুল্ক আরোপের ফলে স্বল্পমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে, এমনকি এটির প্রভাব দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।" তিনি আরও বলেন, "দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা যেন দৃঢ়ভাবে স্থির থাকে এবং এককালীন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি যেন স্থায়ী সমস্যায় রূপ না নেয়—এটি নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান ও মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখব।"
শেষে পাওয়েল স্বীকার করেন, ফেড এখন এমন একটি জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের দ্বৈত ম্যান্ডেট অর্জন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে এবং তিনি ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:
বর্তমানে ক্রেতাদের লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্য যাতে 1.1405 লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যায়। তবেই 1.1467 এর লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1525 পর্যন্ত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন কঠিন হবে। চূড়ান্ত টার্গেট থাকবে 1.1545 লেভেলে। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে কেবল 1.1340 লেভেলের কাছাকাছি বড় ধরনের ক্রয়ের পদক্ষেপের আশা করা যায়। যদি সেখানেও সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তবে 1.1260 এর নিম্ন বা 1.1165 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যুক্তিযুক্ত হবে।
GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:
পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম লক্ষ্য হবে মূল্যকে 1.3240 এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। তবেই তারা 1.3290 এর টার্গেট নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি ব্রেক করা কঠিন হতে পারে। চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকবে 1.3340 এর জোনে। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে বিক্রেতারা 1.3190 লেভেলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে ক্রেতাদের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3130 পর্যন্ত নামতে পারে, যেখানে আরও বিক্রয় হতে থাকলে 1.3080 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
You have already liked this post today
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাত্রা সম্ভবত ধীর হয়েছে, যদিও বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে — যা শ্রমবাজারের ইতিবাচক কিন্তু স্বল্প চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের
ইউরোপীয় মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ধারাবাহিকভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে, কারণ ট্রেডাররা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) আসন্ন মুদ্রানীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরালোভাবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন। তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে ইসিবি সুদের হার
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। চীন বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত — এই খবরের প্রকাশের পর বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট কিনতে শুরু করেছে এবং মার্কিন ডলার দুর্বল হয়ে পড়েছে। আগেই
শুক্রবার কেবলমাত্র অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর মধ্যে কয়েকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি থাকবে, তবে এটি
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের কারণে সৃষ্টি চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বেশ ক্লান্ত। পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত অনিশ্চিত রয়ে গেছে, ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন পুরোপুরিভাবে আজ প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ
বুধবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে আমরা নিশ্চিত নই যে এগুলোর ফলাফল কারেন্সি পেয়ারগুলোর মূল্যের মুভমেন্টে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে কিনা। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো অধিকাংশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে মার্কেট আবারও স্থবির হয়ে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে গোটা বিশ্বের ওপর — বিশেষ করে ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের
মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি আমরা জার্মানির GfK ভোক্তা আস্থা সূচক বা ইউরোজোনের ভোক্তা মনোভাবের মতো
Ferrari F8 TRIBUTO
from InstaTrade
InstaTrade
PAMM accounts
Your IP address shows that you are currently located in the USA. If you are a resident of the United States, you are prohibited from using the services of InstaFintech Group including online trading, online transfers, deposit/withdrawal of funds, etc.
If you think you are seeing this message by mistake and your location is not the US, kindly proceed to the website. Otherwise, you must leave the website in order to comply with government restrictions.
Why does your IP address show your location as the USA?
Please confirm whether you are a US resident or not by clicking the relevant button below. If you choose the wrong option, being a US resident, you will not be able to open an account with InstaTrade anyway.
We are sorry for any inconvenience caused by this message.