empty
 
 
07.11.2024 10:27 AM
৭ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর কোনোটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা মনে করি যে এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আজ মার্কেটে তেমন কোনো তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে না। মার্কেট এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের দ্বারা প্রভাবিত অবস্থায় রয়েছে এবং আজ ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফলের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবারের মূল ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হচ্ছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক। তবে, বৈঠকগুলো ট্রেডারদের জন্য কোনো চমকপ্রদ কিছু বয়ে নিয়ে আসবে না। উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মূল সুদের হার 0.25% হ্রাস করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা ট্রেডাররা আগে থেকেই অনুমান করছে। মূল প্রশ্ন হলো, জেরোম পাওয়েল এবং অ্যান্ড্রু বেইলি ট্রেডারদেরকে কী বার্তা দেবেন। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে এক্সাই যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একবার সুদের হার হ্রাস করেছে, তাই গভর্নর বেইলি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে পারেন, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। একইভাবে, পাওয়েল সাম্প্রতিক ননফার্ম পে-রোলস প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে পারেন, যা মার্কিন ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে।

উপসংহার:

সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে তীব্র ওঠানামা অব্যাহত থাকতে পারে। গতকালের মার্কিন ডলারের মূল্যের উত্থান বিভ্রান্তিকর হতে পারে, কারণ এটি কোনো যৌক্তিক মুভমেন্ট ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, ফেড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান বজায় রাখলে ডলার সহজেই দরপতনের শিকার হতে পারে। তাই, যেকোনো ট্রেডিং পজিশন ওপেন করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.