আরও দেখুন
মঙ্গলবার, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় EUR/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের চলমান কারেকশন বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত ছিল। তবে রাতের বেলায়, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই পেয়ারের মূল্য ২০০ পিপস কমে গেছে। আমরা আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম যে এই সপ্তাহে উভয় দিকেই তীব্র মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, এবং আজ আমরা এরকম একটি উদাহরণ দেখতে পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রাতের বেলাতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত প্রাথমিক ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। এই পেয়ারের মূল্যের এই ধরনের মুভমেন্টের ব্যাপারে পূর্বাভাস দেয়া অসম্ভব ছিল। তবে আবারও বলছি, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র এবং তীক্ষ্ণ মুভমেন্টের সম্ভাবনার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলাম। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে, যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। আজ কোনো সামষ্টিক পরিসংখ্যান প্রকাশের কথা না থাকলেও আগামীকাল ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আজ অথবা আগামীকাল ঘোষণা করা হতে পারে। সুতরাং, এই পেয়ারের মূল্য আবারও ২০০ পিপস বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0888-1.0896 এরিয়া ব্রেক করে যায় এবং তারপর 1.0940 লেভেল থেকে বাউন্স করে। নতুন ট্রেডাররা এই দুটি ট্রেড থেকে সামান্য লাভ করতে পারতেন, যদিও আমরা এই পেয়ারের মূল্যের রাতের মুভমেন্টগুলো বিবেচনা করছি না। হ্যাঁ, এই পেয়ারের মূল্য মূল্য মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক সপ্তাহের মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, তবে ডলারের এইরূপ তীক্ষ্ণ দর বৃদ্ধির ভিত্তি কী হতে পারে তা বোঝা কঠিন ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এক মাসের দরপতনের পর EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে, কারণ গত রাতের দরপতন "যুক্তিসঙ্গত পরিস্থিতি" হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা মনে করি যে কারেকশনটি খুব শক্তিশালী নাও হতে পারে এবং এটি হওয়ার জন্য ইউরোর ক্রমাগত সমর্থনমূলক সংবাদ প্রয়োজন। এমনকি সেক্ষেত্রেও, ইউরোর মূল্য সবসময় নাও বাড়তে পারে, কারণ মার্কেটে এখন ডলার কেনার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কারেকশন ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে।
বুধবারের জন্য, আমরা নতুন ট্রেডারদের পরামর্শ দেওয়া কঠিন বলে মনে করছি। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তাই যেকোনো লেভেলে ট্রেডের চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা আবারও খুব বেশি হতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিং করা জন্য 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140 লেভেলগুলো বিবেচনা করুন। বুধবারে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা ছাড়া অন্য কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হতে থাকবে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থির মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।