আরও দেখুন
সোমবারে, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে এবং মূল্য তেমনভাবে উপরে বা নিচের দিকে যায়নি। কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক সংবাদ না থাকায় এই পেয়ারের মূল্যের নিম্ন মাত্রার ভোলাটিলিটি প্রত্যাশিতই ছিল। আজ মার্কিন শ্রমবাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনটি সামান্য ব্রেক করেছে, যা ইউরোর সামান্য দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করে। তবে, এই সপ্তাহে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তাই দ্রুতই ডলারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে, যা পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, প্রযুক্তিগত সংকেতের চেয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারেকশন হতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে এটি এখনই ঘটবে।
সোমবারে ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে যখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0797-1.0804 এরিয়ার উপরে উঠেছিল তখন একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, খুব কম ভোলাটিলিটির কারণে এটি লাভজনক ছিল না। তা সত্ত্বেও, মূল্য এই এরিয়ার নিচে নেমে যায়নি, তাই লং পজিশন ধরে রাখার সম্ভাবনা এখনও আছে।
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এক মাসব্যাপী দরপতনের পর কারেকশন শুরু হতে পারে। ইউরোর সম্ভাব্য দর বৃদ্ধির জন্য অন্তত কিছু কারণ রয়েছে। আমরা মনে করি এই পেয়ারের মূল্যের একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, যদিও সহায়ক সংবাদ ছাড়া এই কারেকশন শক্তিশালী হবে না। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি।
মঙ্গলবারে, নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.0797-1.0804 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। যদি এই এরিয়ার নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তবে এটি নতুন সেল ট্রেডের জন্য একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। অন্যথায়, গতকালের লং পজিশন ধরে রাখা যেতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, এবং 1.1132-1.1140 লেভেলগুলোর উপর দৃষ্টি রাখুন। মঙ্গলবার ইইউ-তে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে JOLTs জব ওপেনিং সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি মার্কিন শ্রমবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন না হলেও এটিরও বেশ গুরুত্ব রয়েছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।